,

গোপালগঞ্জে ৮শ’ জনকে আসামি করে মামলা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: উপজেলা নির্বাচন-পরবর্তী গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বিজয়ী ও বিজিত প্রার্থীদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের অবসান হলেও বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটছে বলে খবর পাওয়া পাওয়া গেছে। পরিস্থিতির উন্নয়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠ পর্যায় তৎপর রয়েছে।

সহিংসতার ঘটনায় অজ্ঞাত ৮ শতাধিক ব্যক্তির নামে গোপালগঞ্জ থানায় মামলা করে পুলিশ। গোপালগঞ্জ থানার এসআই নিতাই সরকার বাদী হয়ে এ মামলা করেন। বিজয়ী প্রার্থী ও বিজিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে অব্যাহত রয়েছে বাকযুদ্ধ। একপক্ষ অপরপক্ষকে ঘায়েল করতে নানান ফন্দিফিকির করছেন। কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও নির্যাতন এবং শান্তি ভঙ্গের অভিযোগ আনছেন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। করছেন সংবাদ সম্মেলন ও পাল্টা সংবাদ সম্মেলন।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ নেতা ও নবনির্বাচিত কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে তিনি দোয়াত কলম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুজিবুর রহমান হাওলাদারকে অনেক ভোটে ব্যবধানে পরাজিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার পরাজয় মেনে নিতে না পেরে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ এলাকাকে অশান্ত ও বিতর্কিত করতে ষড়যন্ত্র করছেন।

তিনি আরও বলেন, মুজিবুর রহমান হাওলাদারের নির্দেশে তার সশস্র কর্মী বাহিনী তার তিনশ’ কর্মী-সমর্থককে মারধর করে গুরুতর আহত করে।

এ ব্যাপারে মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সঙ্গে কথা বললে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। রোববার সকালে বিজিত প্রার্থী মুজিবুর রহমান হাওলাদার তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে একই রকম অভিযোগ করেন। ২৪ মার্চের উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী সময় সদর উপজেলা ও টুঙ্গিপাড়ায় সড়ক অবরোধসহ বেশ কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে অজ্ঞাত ৮শ’ ব্যক্তিকে আসামি করে গোপালগঞ্জ থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর